বিদ্যুতের মূল্য সমন্বয়ের পর গ্রাহক পর্যায়ে দাম বাড়বে ১৯ পয়সা।
মূল্য সমন্বয়ের কারণ কি?
– ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের গড় উৎপাদন ব্যয় ৮.৯৬ টাকা ছিল
– বৈশ্বিক জ্বালানি সংকটে বর্তমানে উৎপাদন খরচ পড়ে ১১.৭৫ টাকা
– গ্রাহক পর্যায়ে সেই বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে সরকারের খরচ পড়ে ১৪.২৯ টাকা
– ১ কোটি ৬৫ লাখ লাইফ লাইন গ্রাহক যারা ৪ টাকারও কম বিল দেয়। তাদেরকে সরকার সব সময় ভর্তুকি দেয়।
—
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের গড় উৎপাদন ব্যয় ৮.৯৬ টাকা ছিল। বৈশ্বিক জ্বালানি সংকটে বর্তমানে উৎপাদন খরচ পড়ে ১১.৭৫ টাকা।
গ্রাহক পর্যায়ে সেই বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে সরকারের খরচ পড়ে ১৪.২৯ পয়সা। পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের আওতায় একটি বিশাল সংখ্যক লাইফ লাইন গ্রাহক যাদের সংখ্যা ১ কোটি ৬৫ লক্ষ। এদের প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ বিল মাত্র সাড়ে ৩ টাকার মত।
এই বেশি মূল্যে বিদ্যুৎ কিনে কম মূল্যে বিক্রয় বিদ্যুৎ বিভাগের জন্য মহা চ্যালেঞ্জ। যেহেতু এখন শতভাগ বিদ্যুতায়ন হয়েছে সেহেতু ক্রয়-বিক্রয় গ্যাপ বাড়ছে। এ বিশাল গ্যাপ মোকাবেলা দিনে দিনে দুষ্কর হয়ে যাচ্ছে।
দেশে প্রকৃতিক গ্যাসের স্বল্পতার কারনে আমদানীকৃত তরল গ্যাসের ব্যাপক ব্যবহার, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানী তেলের মূল্য বৃদ্ধি এবং বৈদেশিক মুদ্রার বিপরীতে টাকা মানের অবমূল্যায়নে ফলে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরী কমিশন কর্তৃক পাইকারী পর্যায়ে ২০% বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি করে। বিতরণ কোম্পানীসমূহ পাইকারী পর্যায়ে ২০% মুল্য বৃদ্ধির বিপরীতে তাদের আর্থিক ক্ষতি পূরনের জন্য অন্তত ১৫.৪৩% খুচরা/ভোক্ত পর্যায়ে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির জন্য আবেদন করে। দেশের সার্বিক আর্থিক অবস্থার বিবেচনায়, বিতরণ কোম্পানীসমূহের আবেদনের বিপরীতে ভোক্ত পর্যায়ে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি করা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।
সরকার গ্রাহকের কথা বিবেচনা করে মাত্র ৫% মূল্য সমন্বয় করছে। যেখানে এখনো ১ কোটি ৬৫ লক্ষ লাইভ লাইন গ্রাহক ৪ টাকারও কম মূল্যে বিদ্যুৎ সুবিধা পাবে। এই প্রান্তিক গ্রাহকদের সরকার ভর্তুকি দিয়ে যাবে অতীতের মতই।
তথ্য সূত্র – বিদ্যুৎ বিভাগ