২০১৪ সালের নির্বাচন ঠেকাবার চেষ্টায় ৫০০ স্কুল পুড়িয়ে দেয় বিএনপি,তাদের আক্রমণ থেকে রক্ষা পায়নি ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা কেউই
বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত জনগণের উপর চালানো নির্যাতন ভোলেনি বাংলাদেশ। পাঁচ বছরের দু:শাসন, অপশাসন, দুর্নীতি, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, গ্রেনেড হামলা, নারী উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করা, নারী নির্যাতন, সাংবাদিক নির্যাতনসহ অসংখ্য অপকর্মের প্রত্যক্ষ ফল ছিল ২০০৮ এর নির্বাচনী ফলাফল।
এরপর ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে না গিয়ে বিকল্প পথে ক্ষমতায় যেতে জনবিচ্ছিন্ন এবং হঠকারী কর্মসূচি ঘোষণা করে দলটি। ‘অনির্দিষ্টকালের জন্য সর্বাত্মক অবরোধ’ ঘোষণার কারণে পরবর্তী তিন মাস সমগ্র বাংলাদেশ একটি অগ্নিকুণ্ডে পরিণত হয়। জনসাধারণের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছিল এই বিএনপি-জামায়াত জোটের ক্যাডাররা।
তারা নির্বাচন ঠেকাবার চেষ্টায় ৫০০ স্কুল পুড়িয়ে দেয়। তাদের আক্রমণ থেকে রক্ষা পায়নি নারী, পুরুষ, শিশু, বৃদ্ধ, চিকিৎসক, ব্যাংক-কর্মকর্তা, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, পরিবহন শ্রমিক, দিন মজুর, ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা কেউই।
বিএনপি জামায়াতের ছোঁড়া পেট্রোল বোমা ও অগ্নিসংযোগে পুড়ে ছাই হয়ে মারা গেছে ১৫৩ জন সাধারণ মানুষ। নৃশংস ও নারকীয়ভাবে তারা আহত করেছে ২ হাজারেরও বেশি মানুষকে। ২০ দলীয় জোটের কর্মী-ক্যাডারদের আক্রমণ ও অগ্নি-সংযোগের শিকারে পরিণত হয়েছে ২ হাজার ৫০০ যানবাহন। ৫ শতাধিক পুলিশ সদস্য অগ্নিদগ্ধ কিংবা পেট্রোল বোমার আঘাতে আহত হয়েছেন। বেপরোয়াভাবে পিটিয়েও আহত করা হয়েছে সরকারি এই বাহিনীর সদস্যদের।
বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরা সরকারি ও অন্যান্য স্থাপনায় অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটিয়েছে প্রায় পঞ্চাশটির মতো। সব মিলিয়ে সেসময় নানা অস্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে বিএনপি-জামায়াত সাধারণের নাগরিক জীবনকে করে তুলেছিল দুর্বিষহ। এদেশের মানুষের কত শ্রমঘণ্টা নষ্ট করেছে তারা তার হিসেব করা কঠিন।