২০০১ সালে নির্বাচনে জেতার পর মেয়েদের ধর্ষণ করে ছবি তুলতো ছাত্রদল নেতারা
এটাই বিএনপির Take Back Bangladesh!
একবার চিন্তা করুন, বাংলাদেশে কোন যায়গায় নিয়ে যেতে চায় বিএনপি?
২০০১ সালের অক্টোবরে জাতীয় নির্বাচনে জেতার পর সাধারণ মানুষ ও আওয়ামী লীগ সমর্থকদের বাড়িতে হামলা, লুটপাট, চাঁদাবাজি এবং ধর্ষণ শুরু করে বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডাররা। ২০০২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারিতে এর চাইতেও এক বর্বর সংবাদ প্রকাশিত হয় প্রথম আলো পত্রিকায়। রাজশাহীতে অপহরণের পর এইচএসসি পড়ুয়া এক মেয়েকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ এবং ভুক্তভোগীর নগ্ন ছবি বাজারে বিতরণ করে ছাত্রদল নেতারা।
১৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় রাজশাহীর কাঠালবাড়িয়া গ্রামের আওয়ামী লীগ কর্মী আবদুল হান্নানের মেয়ে মহিমাকে তুলে নিয়ে যায় ছাত্রদল নেতা সেলিম, ফারুক ও ফরিদ। পুঠিয়া ডিগ্রি কলেজ শাখা ছাত্রদলের সভাপতি উজ্জ্বলের নেতৃত্বে পাশের আখক্ষেতে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয় মেয়েটিকে। এসময় ক্যামেরা দিয়ে নগ্ন মেয়েটির ছবি তোলে তারা। পরেরদিন বাজারের আড্ডা বসিয়ে সেই ছবি দেখায় সবাইকে। এমনকি এসব ছবি বাজারে পোস্টার করে ঝুলিয়ৈ রাখার ঘোষণাও দেয় তারা। এরপর বিষপানে আত্মহত্যা করে মহিমা।
পরে পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে এক ধর্ষকের বাড়ির ড্রয়ার থেকে ধর্ষণের সময় তোলা ছবি উদ্ধার করে। জেনে অবাক হবেন যে, এই মহিমার সাথে ধর্ষকদের কোনো পরিচয় বা সম্পর্কই ছিল না। শুধু নির্বাচনের আগে মহিমার বাবা আবদুল হান্নান নৌকা প্রতীকের হয়ে মানুষের কাছে ভোট চেয়েছে জন্য তাকে তখনই হুমকি দিয়েছিল এই সন্ত্রাসীরা। পরে নিয়মিত চাঁদা দাবি করে ছাত্রদলের সন্ত্রাসীরা। এরমধ্যেই একদিন সুযোগ বুঝে হান্নানের মেয়েকে অপহরণ করে গণধর্ষণ করে ছাত্রদলের চিহ্নিত নরপশুরা।