২০০১ সালে ক্ষমতায় এসেই মুক্তিযুদ্ধ ও বাঙালির ইতিহাস বিকৃতি শুরু করে বিএনপি
এটাই বিএনপির Take Back Bangladesh!
একবার চিন্তা করুন, বাংলাদেশে কোন যায়গায় নিয়ে যেতে চায় বিএনপি?
২০০১ সালে সরকার গঠনের পরপরই দেশজুড়ে যেমন বিএনপি নেতাকর্মীরা হত্যা-ধর্ষণ-লুটপাট চালাতে শুরু করে, তেমনি সরকারও জাতীয় ইতিহাস বিকৃত করতে শুরু করে। তারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামের আগ থেকে ‘জাতির জনক’ উপাধি লেখা নিষিদ্ধ করে, এমনকি জিয়াউর রহমানের নামের আগে ‘স্বাধীনতার ঘোষক’ শব্দটি ব্যবহার শুরু করে। এর আগে, জিয়াউর রহমানও নিজেকে স্বাধীনতার ঘোষক বলে দাবি করেনি। এমনকি জিয়া নিজের লেখা কলামেও বঙ্গবন্ধুকে জাতির জনক হিসেবেই অভিহিত করেছেন।
জাাময়াত-বিএনপি জোট সরকারের সময় তারেক রহমানের নির্দেশে জাতির ইতিহাস বিকৃতি করার কাজ শুরু করে সরকার। তারা ১ম শ্রেণি থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ্যপুস্তকে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাসের বদলে নিজেদের রাজনৈতিক ইস্যু ভিত্তিক বিকৃত তথ্য সংযোজন করে। বাংলা, সমাজ, ইতিহাস ও পৌরনীতি বইয়ের বিভিন্ন জায়গায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামের সামনে থেকে ‘বঙ্গবন্ধু’ ও ‘জাতির পিতা’ শব্দগুলো মুছে ফেলে, এবং জিয়াউর রহমানের ছবি সংযোজন করে, সেইসঙ্গে জিয়ার নামের আগে ‘স্বাধীনতার ঘোষক’ শব্দ যুক্ত করে।
একারণে আগের প্রকাশিক অনেক বইয়ের বাঁধাইয়ের কাজ বাতিল হয়, নতুন করে অনেক বই প্রকাশ করতে হয়, ফলে বছরের শুরুতে বই পর্যন্ত হাতে পায়নি শিক্ষার্থীরা। সরকারের ক্ষতি হয় শত কোটি টাকা। এমনকি শিশুদের সামনে রাজনৈতিক এজেন্ডা পরিবেশন করে প্রকৃত ইতিহাস থেকেও বঞ্চিত করা হয় তাদের।
পরবর্তীতে জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশের প্রথম প্রেসিডেন্ট বলেও বক্তব্য দিয়ে বেড়াতে থাকেন তারেক রহমান। অথচ বঙ্গবন্ধুকে রাষ্ট্রপতি ও মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক করে যে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হলো, বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণার পরেই যে তাকে পাকিস্তানিরা গ্রেফতার করলো, এসব বিষয় তৎকালীন সব আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচার করা হলেও তারেক রহমান ও বিএনপি সরকার এসব তথ্য চেপে যায়।