২০০১ সালে ক্ষমতায় এসেই ছাত্রদলের বেপরোয়া চাঁদাবাজি
এটাই বিএনপির Take Back Bangladesh!
একবার চিন্তা করুন, বাংলাদেশে কোন যায়গায় নিয়ে যেতে চায় বিএনপি?
২০০১ সালে অক্টোবরে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার গঠনের পরপরই চাঁদাবাজি, লুটপাট, অপহরণ, খুন, ধর্ষণ শুরু করে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। সেই ধারাবাহিকতায় ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে ডিসেম্বর মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাতেও তোলাবাজির সন্ত্রাস ছড়াতে থাকে তারা। ২০০১ সালের ১১ ডিসেম্বরের প্রথম আলো পত্রিকায় এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সংবাদ থেকে জানা যায়, ক্ষমতায় যাওয়ার পর থেকেই ক্যাম্পাসের দোকানদার ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা তুলতে শুরু করে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এমনকি মোটা অংকের টাকার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন ভবনের কাজের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদারদের লোকজনকেও তুলে নিয়ে যায় তারা।
২০০১ সালের ৯ ডিসেম্বর রাত ৮টার দিকে রোকেয়া হলের কয়েকটি ভবনের সংস্কার কাজের ঠিকাদারের পিওনকে একটি রুমে নিয়ে আটকে রাখে ছাত্রদল নেতারা। এসময় ঠিকাদারের কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে তারা। টাকা না দিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ বন্ধ রাখার হুকমিও দেয়। এমনকি টিএসসির ডাস-এর খাবারের দোকানেও নিয়মিত চাঁদা না দিলে দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় ছাত্রদল নেতারা।
শুধু তাই নয়, বহিরাগত সন্ত্রাসীদের হলে থাকার জায়গা করে দিয়ে তাদের দিয়ে বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ড এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নির্যাতনের অপসংস্কৃতিও শুরু করে ছাত্রদল। ১০ ডিসেম্বর রাতে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা এফ রহমান হলে অবস্থান নিয়ে সূর্যসেন হলের শিক্ষার্থী শামসুর রহমানকে কুপিয়ে দেড় হাজার টাকা ছিনতাই করে। ক্যাম্পাসের খাতা-কলম বিক্রেতাদের ওপরও প্রতিদিন ১০০ টাকা করে চাঁদা নির্ধারণ করে বঙ্গবন্ধু হলের ছাত্রদল নেতারা।