সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের জন্য সম্প্রতি সেন্টমার্টিন দ্বীপ সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের প্রায় ১ হাজার ৭৪৩ বর্গকিলোমিটার এলাকা ‘সেন্টমার্টিন সামুদ্রিক সুরক্ষিত অঞ্চল’ ঘোষণা করে বাংলাদেশ সরকার। ফলে জাহাজের অনিয়ন্ত্রিত চলাচল, অতিরিক্ত মাছ ধরা, বর্জ্য ও রাসায়নিক পদার্থের ডাম্পিং এবং প্রবাল প্রাচীর ও জীববৈচিত্র্যের জন্য ক্ষতিকর সবকিছু রোধ করা যাবে।
নতুন ঘোষিত সংরক্ষিত এলাকার সুবাদে বিপন্ন গোলাপি ডলফিন, হাঙর, রে মাছ, সামুদ্রিক কচ্ছপ, সামুদ্রিক পাখি, প্রবাল, সামুদ্রিক ঘাস এবং জীব-বৈচিত্র্যের নিরাপদ আবাসস্থল তৈরিতে সহায়ক হবে। এছাড়া সামুদ্রিক সম্পদ টেকসই হওয়ার মাধ্যমে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার মান বাড়বে। জাতীয় সমুদ্র অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে এবং বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা ও লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা যাবে। একই সঙ্গে সংরক্ষিত এলাকার বাইরে সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের প্রাচুর্য ও জলজ প্রাণীর অস্তিত্ব বৃদ্ধির সম্ভাবনা বহুগুণ বেড়ে যাবে।
প্রবাল দ্বীপটির চারপাশে নতুনভাবে সুরক্ষিত সামুদ্রিক অঞ্চল গড়ে তোলায় বাংলাদেশ সরকার, স্থানীয় বাসিন্দা এবং এনজিওগুলোকে অভিনন্দন জানান লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও। শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) এক টুইট বার্তায় বলেন, বাংলাদেশ সরকারের এই পদক্ষেপ, জীব-বৈচিত্র্যের রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।