ictlbd :
একটি সেতু পাল্টে দিয়েছে গোটা এলাকার চেহারা। যে সেতু স্বপ্নেও কোন দিন ভাবেননি স্থানীয়রা সেই সেতু এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায়। বরিশাল-পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের ২৬তম কিলোমিটার অংশে লেবুখালীর পায়রা নদীর উপর নির্মিত পায়রা সেতুর কারনে ভাগ্য বদলেছে স্থানীয়দের। এর ফলে দেশের সর্বদক্ষিনের কুয়াকাটা পর্যন্ত ফেরী বিহীন যোগাযোগ স্থাপিত হবে, বাড়বে সড়ক যোগাযোগ এবং সৃস্টি হবে কর্মসংস্থানের- এমনটি প্রত্যাশা সংশ্লিস্টদের।
১ হাজার ১শ’ ১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে দেশের অন্যতম নান্দনিক ‘পায়রা সেতুর’ মূল অবকাঠামো নির্মান শেষ হয়েছে অনেক আগেই। এখন চলছে সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ। যে কোন সময় প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের অপেক্ষায়।
এই সেতুর বদৌলতে পাল্টে গেছে পুরো এলাকার চেহারা। সেতুর দুই পাশের ঢালে গড়ে উঠেছে অসংখ্য দোকানপাঠ-ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। অনেকটাই শহরের রূপ ধারন করেছে এক সময়ের অবহেলিত লেবুখালী। আগামীতে এই এলাকা আরও জমজমাট হবে এমন আশায় সেতুর দুই তীরে হিড়িক পড়েছে জমি কেনার। কয়েক গুণ বেড়ে গেছে জমির দাম। একটি সেতুর কারনে পাল্টে গেছে স্থানীয়দের জীবনমান। বদলেছে ভাগ্য।
বরিশাল সড়ক বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, প্রধানমন্ত্রীর উপহারের এই সেতুর কারনে আমূল পাল্টে যাবে দক্ষিনের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। একটি বর্নাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সেতু উদ্বোধনের প্রহর গুনছেন তারা।
গত মঙ্গলবার বিকেলে এই সেতু উদ্বোধনের সব শেষ প্রস্তুতি পরিদর্শন করেন বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার। পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, এই সেতু শুধু যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন-ই নয়, কর্মসংস্থান, পর্যটনের বিকাশ এবং দেশের সামগ্রীক অর্থনৈতিক বিকাশে (জিডিপি) গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখবে।
কুয়েত ফান্ড ফর আরব ইকোনমিক ডেভলপমেন্ট, কেএফএইডি এবং ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভলপমেন্টের, ওএফআইডি যৌথ অর্থায়নে ২০১৬ সালের ২৪ জুলাই এই সেতু নির্মান কাজ শুরু হয়।
সুত্রঃ. ictlbd