রাজধানীতে বিএনপি-জামায়াতের তাণ্ডব: ২০০২ সালের প্রথম ৫০ দিনে ১০০ খুন
এটাই বিএনপির Take Back Bangladesh!
একবার চিন্তা করুন, বাংলাদেশে কোন যায়গায় নিয়ে যেতে চায় বিএনপি?
২০০১ সালের অক্টোবরে ক্ষমতায় আসার পরপরই দেশজুড়ে আওয়ামী সমর্থকদের ওপর হত্যাযজ্ঞ, সাধারণ ব্যবসায়ীদের ওপর চাঁদাবাজি এবং নারীদের শ্লীলতাহানি করতে শুরু করে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা। এমনকি ২০০২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শুধু রাজধানীতেই তাদের হাতে খুন হয়েচে ১০০ জনের বেশি মানুষ। এমের মধ্যে অধিকাংশই আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও সমর্থক।
এছাড়াও চাঁদা না দেওয়ায় কয়েকজন ব্যবসায়ীকেও প্রকাশ্যে খুন করে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা। এমনকি চাঁদার ভাগ নিয়ে অভ্যন্তরীণ কোন্দলে গোলাগুলির ফরে তাদের নিজেদেরও কয়েকজন প্রাণ হারায়। চাঁদা না দেওয়া কারণে কেরানীগঞ্জের ইজারাদার আমির শাকিল ও তার কর্মচারী সেন্টুকেও খুন করে বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাসীরা।
১৯ ফেব্রুয়ারি প্রথম আলো পত্রিকা খেকে জানা যায়, কেরানীগঞ্জের জোড়া খুনের পরপরই আবারো এক দর্জি সাইফুলকে তুলে নিয়ে যায় বিএনপির ক্যাডাররা। চাহিদা মতো চাঁদা না দিতে না পারায় ইটভাটায় দাঁড় করিয়ে প্রাকশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয় তাকে। এছাড়াও কালিন্দী ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রহমানকে মিন্টুকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে তারা।
মুক্তপণ ও চাঁদা না দেওয়ার কারণে পল্লবীর রূপনগরের ব্যবসায়ী মোতালেব, কালাপিন এলাকার ম্কুল ছাত্র রানা, মিরপুরের স্কুল ছাত্র জীবন, ইব্রাহিমপুরের মুদি ব্যবসায়ী মাসুদ, পুরান ঢাকার চক বাজারের ব্যবসায়ী ফারুককে অপহরণ করে বিএনপি-জামায়াতের দুর্বৃত্তরা। পরে তাদের গলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এছাড়াও কমলাপুরে চাঁদাবাজির টাকার ভাগবাটোয়ারাকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্বে বিএনপির দুই গ্রুপের গোলাগুলিতে এক যুবদল নেতারও মৃত্যু হয়। রাজধানীর প্রতিটি এলাকার ব্যবসায়ীরা জিম্মি হয়ে পড়ে ছাত্রদল-যুবদল-শিবিরের সন্ত্রাসীদের কাছে। পুলিশ বলেছে, অপরাধীরা সরকারদলীয় লোক হওয়ায় ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না।