বিএনপির শাসনামলে ডিসি-এসপিদের আশ্বাস স্বত্তেও সংখ্যালঘুরা বাড়িঘর ফিরে যেতে রাজি হয়নি
এটাই বিএনপির Take Back Bangladesh!
একবার চিন্তা করুন, বাংলাদেশে কোন যায়গায় নিয়ে যেতে চায় বিএনপি?
১২ অক্টোবর ২০০১ সালের গৌরনদী-আগৈলঝাড়ায় নির্বাচনী বিজয়ের পাশবিক উল্লাস, প্রশাসন ছিল নীরব ভূমিকায়। অষ্টম জাতীয় সংসদের নির্বাচনের আগেই বরিশালের গৌরনদী আগৈলঝাড়ায় যে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন ও সন্ত্রাস শুরু হয়, নির্বাচনের পর তা আরো বেড়ে গেছে। ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে অন্তত ৫০টি।নির্বাচনত্তোর হামলার শিকার হয়ে গৌরনদী,আগৈলঝারা,উজিরপুর প্রভৃতি এলাকা থেকে ঘরবাড়ি ছেড়ে কোটালীপাড়া উপজেলার রামশীলে আশ্রয় নেয়া সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজন ডিসি-এসপিদের আশ্বাস স্বত্তেও নিজেদের বাড়িঘরে ফিরে যেতে রাজি হয়নি।
সংবাদে জানা যায়,প্রশাসন প্রয়োজন ব্যবস্থা গ্রহণ করলেও প্রশাসনের উপর ভরসা না পেয়ে তারা কেউ বাড়িঘরে ফিরে যাইনি।
২০০১ সালের নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপি-জামায়াত জোট হিন্দুদের উপর তাণ্ডব চালায়। কারণ তাদের বিশ্বাস ছিলো যে হিন্দু ধর্মাবলম্বী ভোটারেরা আওয়ামী লীগকেই ভোট দেবে। নির্বাচনের পরের অবস্থা ছিলো আরো পরিকল্পিত, ছকবদ্ধ এবং গুরুতর। সেসময় বিএনপি জোটের হামলায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ছিলো বরিশাল, ভোলা, পিরোজপুর, খুলনা, সাতক্ষীরা, গোপালগঞ্জ, বাগেরহাট, যশোর, কুমিল্লা ও নরসিংদী। ওই সময় আক্রমণকারীরা হিন্দুদের বাড়িতে ঢুকে তাদের পরিবারের সদস্যদের মারধর, সম্পত্তি লুটপাট এবং অনেক হিন্দু নারীদের ধর্ষণ করে। পাওয়া গেছে হিন্দু মেয়েদের অপহরণের খবরও। তাদের এমন সব বর্বর অত্যাচার সইতে না পেরে ওই সময়ে শত শত হিন্দু পরিবার সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালিয়ে যায়।