অবাধ নির্বাচন প্রক্রিয়া এবং সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করার জন্য বহুমুখী প্রতিবন্ধকতার ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে বাংলাদেশকে। শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে গড়ে তোলার জন্য স্বাধীনতার মাত্র ৯ মাসের মাথায় সংবিধান প্রণয়ন করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেই সংবিধানের মাধ্যমেই তিনি প্রতিষ্ঠিত করেন স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের। পরবর্তীতে তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ডিজিটাইজড হয়। ইতোমধ্যে একটি স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন, নির্বাচন কমিশনের জন্য স্থায়ী সচিবালয় এবং নির্বাচন কমিশনের জন্য আর্থিক স্বাধীনতা সুনিশ্চিত করা হয়েছে।
একটি স্বাধীন নির্বাচন কমিশন প্রতিষ্ঠার জন্য যা যা করা দরকার তার প্রায় সব-কিছুই পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। যার প্রতিফলন আমরা সম্প্রতি স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচনেও দেখতে পাচ্ছি। তবে সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যবস্থা নিশ্চিত করার এই পথ অতো সহজ ছিল না। বাধার পাহাড় পেরিয়ে যেতে হয়েছে আজকের এই অবস্থানে আসার জন্য।
আমরা ইতোমধ্যে জানি যে, নির্বাচন কমিশনে কারা থাকবেন তা নির্ধারণ করার জন্য একটি সার্চ কমিটি গঠনের বিধানও করা হয়েছে। যেই কমিটির মাধ্যমে দেশের সংবিধান ও আইন অনুসারে সর্বজনগ্রাহ্য ব্যক্তিদের নির্ধারণ করা হবে এবং এরপর মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার পদে নিয়োগদানের সাংবিধানিক প্রক্রিয়া গৃহীত হয়েছে। একটি বিষয় উল্লেখ না করলেই নয়, আজ পর্যন্ত বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনের সংস্কার এবং নির্বাচন প্রক্রিয়ার উন্নয়নে যে সব গুণগত পরিবর্তন এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গৃহীত হয়েছে, তার প্রায় সবগুলোই সম্পন্ন হয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কর্তৃক দেশ পরিচালনার সময়ে।
বিস্তারিত জানুন নীচের আর্টিকেল থেকে, কিভাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে নিয়মতান্ত্রিকভাবে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে আর স্বৈরশাসকরা বার বার ধ্বংস করে দিয়েছে বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা। কমেন্ট বক্সে আপনার মন্তব্য জানাতে ভুলবেন না।