প্রতিবেদন ictlbd ডেস্ক : দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করে চলেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার জননেত্রী শেখ হাসিনা। সারা দেশ উন্নয়নে ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপ নিয়েছে আজ। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ছোঁয়ায় আইসিটি উপদেষ্টা জনাব সজিব ওয়াজেদ জয় বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্রের নেতৃত্বে সকলের নিরলস প্রচেষ্টায় দেশ আজ উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ এর লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে মেহেরপুর ১ সংসদ সদস্য ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী জনাব ফরহাদ হোসেন উন্নয়ন ও জনগণের সেবাই কাজ করেছেন। ডিজিটাল নগরী হিসাবে গড়ে তোলার প্রত্যয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন পূরনে কাজ করছেন। জনতার জননেতা গরীব দুঃখী অসহায় মানুষ এর বন্ধু সরকারী সকল সুয়োগ সুবিধা, ভাতা, মাহামারী ও করোনা ভাইরাস সচেতনতা ও সেবা ত্রান,কৃষিতে উন্নয়ন ইত্যাদি নানা মুখি কর্মে যথোপযুক্ত সেবা করে চলেছেন।
অসাধারণ স্থাপনা “মেহেরপুরের বুক চিতিয়ে দিন দিন দৃশ্যমান হচ্ছে জেলা মডেল মসজিদ”। স্কুল কলেজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উন্নয়নের বিপ্লব ও শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি, বই ইত্যাদি নানামুখি সুয়োগ সৃষ্টি করেন। আজ শিক্ষানগরীতে পরিনত হয়েছে। শুনতে অবিস্বাশ্য হলেও এটাই বাস্তব চিত্র। আর এই উন্নয়ন এর কারিগর অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন (দোদুল) এম.পি মহোদয়, মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।
“খাদ্য নাই যার ঘরে” ফরহাদ হোসেন এমপির উপহার খাদ্য সামগ্রী যাবে তার ঘরে” হাসি ফুটছে সবার মুখে।গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ও মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সংগ্রামী সভাপতি অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন এমপির নির্দেশনায় ও মাননীয় মন্রী মহোদয়ের নিজস্ব অর্থায়নে উপজেলার ইউনিয়নে বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে গরিব অসহায় মানুষদের এাণ বিতরণ করছেন । মহোদয়ের হস্তক্ষেপে করোনা রোগীর উন্নত চিকিৎসার জন্য মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে পূর্বের ০২টার সাথে আরো ০৫ টি ICU এবং ০৬ টি PICU বেড স্থাপন করা হচ্ছে। করোনা মুক্ত দেশ গড়তে গনটিকা কার্যক্রম সফল ভাবে জনগণের মাঝে চলমান।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে, মেহেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের সংগ্রামী সভাপতি মাননীয় জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী মহোদয়ের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায়, মেহেরপুর উন্নয়নের মহা সড়কের মেগা প্রকল্প হচ্ছেঃ-
> সড়কের অবকাঠামো উন্নয়ন
> সড়ক নির্মাণে ৩ গুণ অর্জন
এই প্রকল্পে নতুন সড়ক নির্মাণ এবং মেরামত সড়কের সংখ্যা প্রায় ৩৭০ টি, ইতিমধ্যে প্রায় ৬০০ কোটি কাজ শেষ হয়েছে।
গুরুত্বপূর্ণ সড়ক:-
>মেহেরপুর-কুষ্টিয়া ৪লেন রাস্তা ৬৪৩ কোটি টাকা বরাদ্দ ( একনেকে সদ্য অনুমোদন পেয়েছে)
>মুজিবনগর- মেহেরপুর হয়ে চুয়াডাঙ্গা সড়ক
>মেহেরপুর- কুষ্টিয়া সড়ক
>আমঝুপি-আশরাফপুর-মুজিবনগর বাইপাস
>স্বাধীতনা সড়ক
>চাঁদপুর-দরগাতলা- যাদুখালী হয়ে যতারপুর
>আমঝুপি-খোকসা হয়ে গাড়াডেব সড়ক
>আমঝুপি- মদনাডাঙ্গা হয়ে শ্যামপুর
>দীনদত্ত ব্রীজ-হিজুলী হয়ে আমঝুপি সড়ক
>মেহেরপুর-ঝাউবাড়ীয়া হয়ে কালীগাংনী সড়ক
>গোভীপুর-হরিরামপুর সড়ক
>থানা ঘাট- গোভীপুর-হরিরামপুর হয়ে দারিয়াপুর
>পিরোজপুর- কাঁঠালপোতা সড়ক
>নুরপুর- পিরোজপুর সড়ক
>মেহেরপুর- মহাজনপুর সড়ক
>আনন্দবাস- বল্লভপুর সড়ক
>কুলবাড়ীয়া থেকে কাথুলী সড়ক
গত সাত বছর আগে থেকে মেহেরপুরকে কৃষি উন্নয়ন এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করে, মাঠের রাস্তার সাথে গ্রামীন রাস্তার সংযোগ এবং গ্রামীন রাস্তার সাথে মহাসড়কের সংযোগের মহা পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ায় এখন সুফল আসতে শুরু করেছে, গ্রামীন অর্থনীতি এখন গতিশীল, সকাল বিকাল নিজের ফসলের যত্ন, নির্বিঘ্নে চলাফেরা সহ প্রতিটি ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন হয়েছে ।
একজন সৎ, পরিচ্ছন্ন, নির্লোভ, ত্যাগী ও দূর সময়ে দলকে শক্ত হাতে নেতৃত্ব দিয়ে আলোকবর্তিকা হিসেবে , একজন জনপ্রিয় জননেতা ক্ষমতাকে ভোগ নয় দায়িত্ব হিসেবে রাজনীতি করেন নিপীড়িত, শোষিত, সুবিধাবঞ্চিত মানুষের স্বার্থে প্রিয় নেতা আকাশের তারার মত উজ্জ্বলময়। যাহা লক্ষ লক্ষ তরুণ সমাজ উপলব্ধি করছে। সবকিছুর সীমা ছাড়িয়ে এদেশের তরুন সমাজের ভালবাসার মধ্যমনি তিনি।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বক্তব্যে , ‘যারা কখনও এদেশের স্বাধীনতা চায়নি, তারাই বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। তারা ’৭৫ এর পনেরো আগস্টের পর এ দেশের মানুষের মন থেকে বঙ্গবন্ধু আর মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে মুছে ফেলতে চেয়েছিল। বারবার ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টা করেছে। এখনও অনেকেই সেই প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে যেন আর এ ধরনের বিকৃতি না ঘটে সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মেহেরপুর-১ আসনে নৌকার প্রার্থী হিসেবে জয় পান ফরহাদ হোসেন। সাংসদ সদস্য হিসাবে শপথ নেওয়ার পরপর মন্ত্রী বানানোর দাবি উঠতে থাকে মেহেরপুরে। ‘ফরহাদ হোসেনকে মন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাই’ লিখে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে দাবি জানান অনেকে। জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের দাবি ছিল, স্বাধীনতার ৪৭ বছর পার হলেও কোনো মন্ত্রী পায়নি মেহেরপুর। এবার অন্তত একজন সাংসদকে হলেও মন্ত্রী বানানো হোক। অবশেষে সেই চাওয়া পূরণ হচ্ছে। ফরহাদ হোসেনকে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে মেহেরপুরে উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়ে। বয়ে যায় আনন্দর বন্যা। অনেকেই ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছেন।ফরহাদ হোসেনের বাবাও সাংসদ ছিলেন।
ফরহাদ হোসেন টানা দ্বিতীয়বার এ আসনে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। একাদশ সংসদ নির্বাচনে তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী জেলা বিএনপির সভাপতি মাসুদ অরুণ। এ আসনে বিএনপি থেকে তিনি একবার সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। মাসুদ অরুণের বাবা আহমেদ আলীও দুইবারের নির্বাচিত সাংসদ।
সদর উপজেলার কুতুবপুর গ্রামের রতন আলী বলেন, কৃষিনির্ভর এলাকাতে উন্নয়ন সাধন করতে হলে কৃষির ওপর জোর দিতে হবে। স্বাধীনতার ৪৭ বছর পর হলেও ঐতিহাসিক মেহেরপুর একজন মন্ত্রী পাচ্ছে। এবার সেই কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নের মাত্রা বাড়বে।
জেলা উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি রফিকুল আলম বলেন, এলাকার উন্নয়নে ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে তরুণ প্রজন্মর সামনে তুলে ধরে মুজিব আদর্শে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিকশিত করতে একজন মন্ত্রী পর্যায়ের সাংসদের বিকল্প নেই। প্রায় ৭ লাখ জনসংখ্যার এই এলাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয়নি। কৃষিনির্ভর জেলায় মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের। তিনি বলেন, সাংসদ ফরহাদ হোসেনকে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে , এতে মুজিবনগরের সম্মান বৃদ্ধি হয়েছে।
মেহেরপুর সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল আমিন বলেন, উন্নয়নের দিক থেকে অন্যান্য জেলা থেকে মেহেরপুর অনেক পিছিয়ে। জেলাটি মূলত কৃষিনির্ভর। এখানে শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেনি। স্থলবন্দরের দাবিতে দীর্ঘ সময় ধরে আন্দোলন করছে জনগণ। শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে না ওঠায় বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হচ্ছে না। এবার সাংসদ ফরহাদ হোসেন মন্ত্রী হচ্ছেন—এতে বেশির ভাগ সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। তারপর থেকেই উন্নয়ন ও জনগণের সেবক হয়ে নিরলস ভাবে কাজ করে চলেছেন প্রতিনিয়ত।
সংক্ষিপ্ত পরিচিতিঃ
জনাব ফরহাদ হোসেন ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ৫ জুন মেহেরপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছহিউদ্দীন বিশ্বাস । তিনি ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দে এম.এন.এ. (জাতীয় পরিষদের সদস্য) ছিলেন । এ ছাড়াও তিনি ১৯৭৩ ও ১৯৮৬ খ্রিষ্টাব্দে সংসদীয় আসন ৭৩ মেহেরপুর-১-এর সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন । তিনি ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দে বাকশাল ডিস্ট্রিক্ট গভর্নর নির্বাচিত হন । তিনি বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন । বঙ্গবন্ধুর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ও বিশ্বস্ত রাজনৈতিক সহকর্মী মরহুম ছহিউদ্দীন বিশ্বাস মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক হিসাবে স্বাধীনতা সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন ।
তিনি মেহেরপুরের মুজিবনগরে বাংলাদেশের প্রথম সরকারের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের আয়োজক ও সংগঠক ছিলেন । ফরহাদ হোসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি ভাষাতত্ত্বে এম. এ. ডিগ্রি লাভ করেন । তিনি ঢাকা সিটি কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসাবে কর্মরত ছিলেন । তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, মেহেরপুর জেলা শাখার সভাপতি । তিনি দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদের সংসদীয় আসন ৭৩ মেহেরপুর-১ (মেহেরপুর-মুজিবনগর)-এর নির্বাচিত সংসদ-সদস্য । তিনি দশম জাতীয় সংসদের অর্থ মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও অর্থ মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির মুদ্রাপাচার-সংক্রান্ত উপকমিটির সদস্য এবং মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের নির্বাহী সদস্য ছিলেন । তাঁহার সহধর্মিণী সৈয়দা মোনালিসা ইসলাম মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ও বঙ্গবন্ধুর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সহচর সৈয়দ নজরুল ইসলামের ভাতিজি ।
সূত্রঃ ictlbd মেহেরপুর নেতাকর্মী ও অনলাইন।