জাতির পিতার হাতে গড়ে ওঠা বাংলাদেশের সশস্ত্রবাহিনী আজ কতটা সক্ষম, সীমাহীন ত্যাগের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জনের পথটাই বা কেমন ছিল সেই ইতহাস নান্দনিকভাবে ফুটিয়ে তুলতে চালু হয়েছে দেশের সবচেয়ে বড় ও ইন্টারঅ্যাকটিভ সামরিক জাদুঘর। রাজধানীর বিজয় সরনীতে বিজয়ের স্মৃতি নিয়ে আধুনিক প্রযুক্তির মিশেল ঘটিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর। এখানে প্রযুক্তির মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে সামরিক বাহিনীর দক্ষতা ও সক্ষমতা। আছে মুক্তিযুদ্ধে সামরিক বাহিনীর বীরত্বের দুর্লভ সব উপাদান। ভারচুয়াল রিয়ালিটিতে দেখা যাবে বিমান বাহিনীর আকাশপথের দুর্ধর্ষ সব অভিযান, উপভোগ করা যাবে সমুদ্রের তলদেশে নৌবাহিনীর মিশন।
বৃহস্পতিবার ৬ জানুয়ারি এই জাদুঘরের উদ্বোধন করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমি মনে করি এটা হবে সারা পৃথিবীর মধ্যে একটি শ্রেষ্ঠ প্রযুক্তি নির্ভর সামরিক জাদুঘর। এখানে সেনা, নৌ এবং বিমান বাহিনীর জন্য পৃথক প্রদর্শনীর ব্যবস্থা থাকায় এখানে আগত তরুণ থেকে বয়োবৃদ্ধরা যেমন এ সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করতে পারবেন তেমনি তরুণ প্রজন্ম সশস্ত্রবাহিনীতে যোগদানে আরো আগ্রহী হবে। আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আরো উদ্বুদ্ধ হবে। কাজেই জাদুঘরটি শুধু প্রদর্শনীর জন্যই নয়, এটা তরুণ প্রজন্মকে যেমন আকর্ষণ করবে তেমনি তাঁদেরকে দেশ প্রেমেও উদ্বুদ্ধ করবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পার্শ্ববর্তী নভোথিয়েটারে আমাদের অনেক শিক্ষার্থীরা আসে তারা সেখানে অনেক কিছু দেখে এবং জানতে পারে। আমাদের সামরিক জাদুঘরেও এসে দেখতে ও জানতে এবং কিছু শিখতে পারবে। শিশু পার্কে তাদের জন্যও বিনোদনের ব্যবস্থা থাকছে। কাজেই সবকিছু মিলে আমাদের বিজয় স্মরণী বিজয়ের স্মৃতি নিয়েই চলবে। সেটাই হচ্ছে বড় কথা।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রেখে যাওয়া পররাষ্ট্র নীতি-‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়,’ মেনেই আওয়ামী লীগ সরকার কাজ করছে উল্লেখ করে সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নে তাঁর সরকারের নেয়া নানা পদক্ষেপের কথাও জানান সরকার প্রধান।